করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। ইউসিজির নির্দেশনা মোতাবেক গত ১ জুলাই থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) শুরু হয়। একযোগে ৩১টি বিভাগে অনলাইন ক্লাস শুরু করে প্রশাসন। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তিনটি বিভাগ এবং একটি ইনস্টিটিউট পরীক্ষামূলক অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয়নি। তবে বর্তমানে অধিকাংশ বিভাগে শিক্ষার্থী সংকটের কারণে অনলাইন ক্লাস বন্ধ হয়ে গেছে।
বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের আর্থিক সমস্যা, ডিভাইস না থাকা এবং গ্রামে দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে একটি বড় অংশ অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। তবে অনলাইন ক্লাস শুরুর দিকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো ৪০-৬০ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা বিবেচনা করে বিভাগগুলোর পক্ষে অনলাইন ক্লাস অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সালেহ আহমেদ বলেন, আমরা কিছুদিন পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে ক্লাস শুরু করার পরেও ডিভাইস সমস্যা, নেটওয়ার্ক সমস্যা এবং আর্থিক সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেক অনুপস্থিত ছিল। এরপর নানা সমস্যার কারণে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে সমস্যাগুলো আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং এর প্রেক্ষিতে তাদের পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসিবুর রহমান বলেন, আমাদেরকে অনলাইন ক্লাস শুরুর জন্য কোনো লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে সাবেক উপাচার্যের (রুটিন দায়িত্ব) মৌখিক নির্দেশে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ক্লাস নিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল ৫০ শতাংশর কাছাকাছি। এ ছাড়া পরীক্ষামূলক ক্লাসগুলো থেকে পাওয়া তথ্য প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং প্রশাসনের পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছি।
অন্যদিকে, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ এবং একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগসহ চারটি বিভাগ সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে অনলাইন ক্লাস অব্যাহত রয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীরা মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত অনলাইন ক্লাসের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে অতিদ্রুত ক্লাস শুরু করা।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সুকান্ত সরকার বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। এজন্য অতিদ্রুত শিক্ষার্থীদের জন্য ডিভাইস ও ডাটা প্যাকের ব্যবস্থা করে অনলাইন ক্লাস শুরু করা প্রয়োজন।
অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের সাথে আলোচনা করে আমরা শীঘ্রই অনলাইন ক্লাস শুরু করবো। আর কোনো মোবাইল অপারেটরের সাথে চুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ডাটাপ্যাকের ব্যবস্থা করা যায় কি না এটিও ভেবে দেখবো।
শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনের সব খবর সবার আগে জানতে আগামী নিউজ ডট কম এর সাথেই থাকুন। শিক্ষা এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট আপনার আশে-পাশে ঘটে যাওয়া যে কোন খবর আমাদেরকে ইমেইল করুন। আর চোখ রাখুন আগামী নিউজ ডট কম এর শিক্ষা পাতায়।
আগামীনিউজ/আশা